Standard primary education gives the highest output

শিক্ষকের ভ্যালু

মাস্টার্স করার সময় সরকারি তোলারাম কলেজের এক স্বনামধন্য প্রফেসর স্যারের ছেলেকে পড়াতাম। নিজের শিক্ষকের ছেলেকে তার বাসায় পড়াতে গিয়ে দেখলাম, আমি পড়ার টেবিলে বসলে আমার ছাত্র যতটা তাড়াহুড়া করে তার বই খাতা আনতো, তার চেয়ে প্রফেসর স্যার আরো দ্রুত তার ছেলের বই খাতা নিয়ে আসতো আইমিন ছেলেকে হেল্প করতো। ওনার ছেলে পড়া না শিখলে স্যার এসে ক্ষমা চেয়ে নিতো! মারার জন্যে বেত দিয়ে যেতো! যতটা না ভক্তি আমার ছাত্রের ছিলো আমার প্রতি, তার চেয়েও বেশী ভক্তি এবং শ্রদ্ধা ঐ প্রফেসর স্যার আমাকে করতো। আমি নিজেই লজ্জা পেয়ে যেতাম। চুপ করে থাকতাম স্যারে কান্ড দেখে, তার প্রতি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা আরোও বেড়ে যেতো। স্যারকে একদিন জিজ্ঞেস করলাম স্যার আপনিতো আমাকে নাম ধরেই ডাকতে পারেন, তখন স্যার উত্তর দিলো “বাবা আমি যেভাবে তোমাকে ট্রিট করবো আমার ছেলে তোমাকে ঐভাবেই ট্রিট করবে, আমি তোমাকে সম্মান প্রদর্শন না করলে, সে শিখবে কই থেকে? আমার ছেলে, শিক্ষকের সম্মান বুঝবে কি করে আমি যদি তার শিক্ষককে ঐ সম্মানটা দিতে না পারি! আমি জাস্ট অবাক হয়ে তাকিয়েছিলাম!! এখনকার বাবা-মা’রা তার ছেলে-মেয়েদের সামনেই শিক্ষককে প্রশ্ন করে — কি ব্যাপার কাল আসলা না কেনো? সময় দিয়ে পড়াও না কেনো? শিখায় দাওনা কেনো? তোমার পড়ানো বুঝেনা কেনো? শিক্ষক বেরিয়ে গেলে তার মূজার গন্ধ- মুখের গন্ধ- পোশাক নিয়ে হাসাহাসি হয়!!! আরও অনেক কিছু! যে শিক্ষক কে অসম্মান করছি তার স্টুডেন্ট এর সামনে, সেই শিক্ষক যদি তাকে পড়াশোনা গলাধঃকরণ করেও দেয়! দিন শেষে এই শিক্ষা আপনার ছেলে-মেয়ের কাজে আসবেনা! লিখে রাখেন! কারন স্ব-সম্মানিত মানুষ যা বুঝাবে আপনার ছেলে-মেয়ে তার কিয়দাংশ হলেও গ্রহন করতে পারবে! আর অসম্মানিত মানুষ আপনার বাচ্চাকে যাই পড়াক না কেনো ঐ পড়া কিন্তু তার মাথায় সহজে ঢুকবেনা!!! কারন সন্তানের কাছে ঐ শিক্ষকের ভ্যালু আপনি নিজেই কমিয়ে দিয়েছেন !!!

আসিতেছে

দয়া করে অপেক্ষা করুন……..

নতুন যুগ

স্বপ্নের বাসর